নাজমুল হক মুন্না, উজিরপুর ::জেলার উজিরপুরে মিথ্যা মামলা দিয়ে শত পরিবারকে হয়রানি করার অভিযোগে আওয়ামীলীগ নেতা, সাবেক সেনা সদস্য মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী। ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সাতলা সমন্বিত মৎস্য ঘের এর সম্মুখে প্রধান সড়কে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অংশগ্রহণ করে ভুক্তভোগী পরিবারসহ কয়েক শত জনগণ । সাতলা সমন্বিত মৎস্য ঘের কমিটির প্রধান উপদেষ্টা হাজ্বী আব্দুস ছত্তার মিয়া’র সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে বক্তব্য রাখেন ঘের কমিটির সভাপতি ফায়জুল হক বালী ফারাহীন, সাবেক ইউপি সদস্য মোনাফছের হাওলাদার,জাকির মিয়া,মোস্তফা মিয়া, বনি আমিন বালী, গিয়াস উদ্দিন মিয়া, মিলন বিশ্বাস, আমজেদ হোসেন মিয়া,আকুব্বার বিশ্বাস, কামাল হোসেন বালী,নূরুল হক হাওলাদার, ঘের পাহারাদার কালাম হাওলাদার প্রমুখ । এসময় বিক্ষুব্ধরা বলেন কিছুদিন পূর্বে পাহারাদারের ঘরে আগুন দিয়েছে এবং পাহাড়াদার কালাম হাওলাদারকে মারধর করে গুরুত্বর আহত করে। সাতলায় ৭শত বিঘা জমিতে মাছের ঘেরে উম্মুক্ত ভাবে ডাক হয়েছে। উক্ত ঘেরে মাছ ধরতে বাধা প্রদান ও বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। এছাড়া মিজানুর রহমান গংরা নিজেদের শরীরে নিজেরা আঘাত করে অপপ্রচার চালিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে বহু লোকজনকে হয়রানি করছে। এরমধ্যে মিজানুর রহমানের বোন মোসাঃ মমতাজ খানম মুক্তা বাদি হয়ে নাটক সাজিয়ে নায়েব হাওলাদার, ফারাহীন বালী, টিটুল বিশ্বাস, রুবেল বালী, হাফিজুর মিয়া,জাকির মিয়া,ফয়েজ হাওলাদার, আনোয়ার বালী,মিলন বিশ্বাস, ফিরোজ হাওলাদার, কবির হাওলাদার, মোস্তফা মিয়া,মোনাফসের হাওলাদার, সাইদুল বিশ্বাস, মোঃ তাহের আলীসহ অজ্ঞাত ৫/৭ জনকে আসামি করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। অভিযুক্ত মিজানুর রহমান জানান আমি কাউকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করিনি। ওই মৎস্য ঘেরে আমাদের অনেক জমি রয়েছে। আমাদের ঠকানো হচ্ছে। উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুস সালাম জানান,মানববন্ধনের বিষয়টি জানা নেই, তবে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এদিকে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ অভিযুক্ত আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ মিজানুর রহমান মিয়াকে অচিরেই গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারসহ এলাকাবাসী।
সভায় বক্তারা বলেন মিজানুর রহমান মিয়া ইতিমধ্যে একাধিক ব্যাক্তির মাথা নিজহাতে কেটে নিরীহ মানুষের নামে মিথ্যা ষড়যন্ত্র মুলুক মামলা দিয়ে হয়রানি করিতেছে এবং গত ২৪ আগস্ট ২০২৪ তারিখে সাতলায় ডাবল মার্ডার মামলার ২২ নাম্বার আসামি। উল্লেখ যে ইদ্রিস হাওলাদার ও তার চাচাতো ভাই ওসমান গনি হাওলাদার (সাগর) হত্যা মামলার আসামি হয়ে মিজান মিয়া তার ছোট বোন মমতাজ খানম মুক্তা কে বাদী করে মিজান গংদের হাতে খুন হওয়া ইদ্রিস হাওলাদার এর কলেজ পড়ুয়া ছেলে নায়েব হাওলাদার কে ১নং আসামি করে ১৫ জনের নামে মিথ্যা ষড়যন্ত্র মুলুক মামলা করে।
পাঠকের মতামত